হিউম্যান হলার শ্রমিকদের ৪৯ কোটি টাকা মেরে দিয়েছে নেতা

Passenger Voice    |    ০৪:৩২ পিএম, ২০২২-০২-২৫


হিউম্যান হলার শ্রমিকদের ৪৯ কোটি টাকা মেরে দিয়েছে নেতা

সিলেটের পরিবহন নেতা রুনু মিয়া মঈনের বিরুদ্ধে ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ টাকা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ শ্রমিকদের। টাকা আত্মসাৎ করে তিনি বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন। শ্রম আদালত সিলেটে এ মামলা করেন সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের (চট্ট-১৩২৬) সাবেক সভাপতি ও তামাবিল শাখার সদস্য শাহাব উদ্দিন। তবে মামলায় অভিযুক্ত রুনু মিয়া মঈনের দাবি, সব অভিযোগ মিথ্যা।

বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বাদী জানান, রোববার এই মামলা করেন তিনি। মামলায় তিনি দাবি করেন, রুনু মিয়া মঈন সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং- চট্ট-১৩২৬) এর সভাপতি। সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের সমবায় ভবনে রয়েছে তার ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়।

বাদী শাহাব উদ্দিন বলেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে ছিলেন একজন সাধারণ টেম্পোচালক। বর্তমানে তিনি অনেক গাড়ি-বাড়ি ও বিত্ত-বৈবভের মালিক। নগরের উপকন্ঠ দক্ষিণ সুরমার বাসস্ট্যান্ড, বাইপাস এলাকায় নামে বেনামে রয়েছে তার বিশাল সম্পত্তি। সিলেট সদরের খাদিমপাড়ায় একটি বিলাসবহুল বাড়িসহ রয়েছে কয়েকটি বহুতল বাড়ি।

মামলার অভিযোগ, রুনু মিয়া মঈন আজ থেকে ২০ বছর আগে লোক দেখানো এক নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতির আসনে বসে দীর্ঘ ২ দশক ধরে অগণতান্ত্রিক পন্থায় এ পদ আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। ইউনিয়নের জন্য সরকার অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের সবকটি ধারা-উপধারা লঙ্ঘন করে এ যাবত তিনি লুটপাট ও আত্মসাতের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউনিয়নের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও সিলেটের তামাবিল এলাকায় অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি, বেআইনি হিউম্যান হলার, ইমা, লেগুনা, সুজুকি, মেক্সি, রাইডার, ইত্যাকার রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহনে পুলিশ টোকেন বাণিজ্য করে দৈনন্দিন লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন। তাকে যারা সহযোগিতা করছেন তাদেরও এ মামালায় এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের (চট্ট-১৩২৬) বর্তমান সভাপতি রুনু মিয়া মঈনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অন্যায় ও আত্মসাতের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন তার ইউনিয়নের কোনো সদস্য নন।

তবে বাদী শাহাব উদ্দিন এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ওই ইউনিয়নের বৈধ সদস্য এবং ভোটার। ২০১৯ সালের দেওয়া ভোটার কার্ড তার কাছে রয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর